# ব্যাংকগুলোর মোট বিতরণকৃত ঋণের ৬ শতাংশ পাচ্ছেন নারীরা
ঢাকা, ৮ মে: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ. মনসুর বলেছেন যে ৯ মাসে মুদ্রাস্ফীতি ১৪.৫ শতাংশ থেকে কমে ৮.৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারের প্রচেষ্টা এবং নীতিমালা ধারাবাহিক থাকলে মুদ্রাস্ফীতি ৪-৫ শতাংশ কমানো সম্ভব।বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে শুরু হওয়া ‘ব্যাংকার এসএমই নারী উদ্যোক্তা সমাবেশ, পণ্য প্রদর্শনী ও মেলা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গভর্নর এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই এবং বিশেষ কর্মসূচি বিভাগ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, এপ্রিল মাসে সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৯.১৭ শতাংশ। আগের মাসে এই হার ছিল ৯.৩৫ শতাংশ। এদিকে, খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত উভয় খাতে মূল্যস্ফীতি আগের মাসের তুলনায় গত মাসে কমেছে। গত এক বছরের গড় মূল্যস্ফীতি এখনও ১০ শতাংশের বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার, নির্বাহী পরিচালক মো. খসরু পারভেজ, সিটি ব্যাংকের এমডি ও সিইও মাসরুর আরেফিন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই ও স্পেশাল প্রোগ্রাম বিভাগের পরিচালক নওশাদ মোস্তফা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
গভর্নর মনসুর অনুষ্ঠানে বলেন, “আমরা যদি একদিকে টাকা ছাপাই এবং অন্যদিকে বলি যে মূল্যস্ফীতি কমবে না, তাহলে তা হবে না। আমাদের এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিতে হবে। আমরা সেই দিক থেকে কাজ করছি। মূল্যস্ফীতি কমতে কিছুটা সময় লাগবে। তবে ধীরে ধীরে কমবে।”
এই প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, ‘দেশে খাদ্যমূল্যস্ফীতি ছিল ১৪.৫ শতাংশ। এখন তা ৮.৫ শতাংশে নেমে এসেছে। খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ১২.৫ শতাংশের বেশি, এখন তা ৯ শতাংশের একটু বেশি।
“আমি আশাবাদী যে এটি ধীরে ধীরে আরও কমবে। যদি আমরা চেষ্টা করি, নীতিগত স্থিতিশীলতা থাকে, তাহলে মুদ্রাস্ফীতি ৪ থেকে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা অসম্ভব নয় এবং এটি সকলের জন্য একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান হবে।”
আহসান এইচ. মনসুর আরও বলেন, “বাস্তবে নারীরা তাদের সাংবিধানিক অধিকার পাচ্ছেন না। নারী ঋণের ক্ষেত্রে অনেক বাধা রয়েছে। নারীদের কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তা আমাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে হবে।”
বর্তমানে, ব্যাংকিং খাতে মোট ঋণের মাত্র ৬ শতাংশ পাচ্ছেন নারীরা, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, এটি মোটেও বাস্তবসম্মত নয়।“তাদের জন্য ঋণ কীভাবে বাড়ানো যায় সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া দরকার। একই সাথে তাদের আর্থিক সচেতনতাও বাড়াতে হবে,” তিনি আরও বলেন।
ড. মনসুর বলেন, “আমরা নারী উদ্যোক্তাদের ঋণ দেব, তবে কেবল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তহবিল বাড়িয়ে নয়।”কারণ, সেখান থেকে দান করলে নতুন অর্থ তৈরি করতে হবে। নারীদের অধিকারের কথা মাথায় রেখে ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল থেকে ঋণ দেওয়া উচিত।
’নারী উদ্যোক্তাদের বৃহত্তর অংশগ্রহণ এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এই পণ্য প্রদর্শনী মেলার আয়োজন করেছে।চার দিনব্যাপী এই মেলা ১১ মে পর্যন্ত চলবে। বিভিন্ন জেলা থেকে ৬৮ জন নারী উদ্যোক্তা তাদের পণ্য মেলায় এনেছেন।এ বছরের মেলার শেষ দিনে ছয়জন নারী উদ্যোক্তাকে সম্মানিত করা হবে।