বুধবার ৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
সর্বশেষ:
খালেদা জিয়াকে ভিভিআইপি ঘোষণার সিদ্ধান্ত ডিভাইস শিল্পের বিনিয়োগ সুরক্ষা দেবে সরকার : ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বাজারে আসছে নতুন ৫০০ টাকার নোট, বৃহস্পতিবার থেকেই পাওয়া যাবে জননিরাপত্তা জোরদারে ডিজিটাল ও কমিউনিটি কৌশল গ্রহণের তাগিদ বিশেষজ্ঞদের বাংলাদেশ আমদানি বন্ধ রাখায় বিপাকে ভারত, সীমান্তে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ২ রুপিতে! দেশের অর্থনীতি কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় পৌঁছায়নি, কাজ করার সুযোগ আছে: বাণিজ্য সচিব অবৈধ মাছ ধরা বন্ধে বৈশ্বিক সহযোগিতা জরুরি: মৎস্য উপদেষ্টা বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর অনুকূল পরিবেশ তৈরির তাগিদ ইইউর শাহরুখ খানের মার্কশিট ভাইরাল: কোন বিষয়ে কত নম্বর পেয়েছিলেন বলিউড বাদশা?

স্থল পথে সূতা আমদানি বন্ধ করায়, ভারতীয় টেক্সটাইল শিল্পে মন্দা, বাংলাদেশে রপ্তানির বিকল্প পথ খুঁজছে

ঢাকা, এপ্রিল ২৯: বাংলাদেশে স্থল পথে সূতা আমদানি বন্ধ করায়, ভারতীয় টেক্সটাইল শিল্পে মন্দা, বাংলাদেশে রপ্তানির বিকল্প পথ খুঁজছে ।

ভারতের টেক্সটাইল শিল্প বাংলাদেশে সুতা রপ্তানির জন্য নতুন উপায় খুঁজছে। দেশটির সাউদার্ন ইন্ডিয়া মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি-জেনারেল কে. সেলভারাজু জানান, ভারত থেকে মোট রপ্তানি হওয়া সুতার প্রায় ৪৫ শতাংশ যায় বাংলাদেশে।

আগে প্রতি মাসে ১০ কোটির বেশি কেজি সুতা রপ্তানি হলেও, এখন তা কমে প্রায় ৯ কোটি কেজিতে দাঁড়িয়েছে।স্থানীয় টেক্সটাইল মিল মালিকদের দীর্ঘদিনের অনুরোধের প্রেক্ষিতে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধ করার নির্দেশনা জারি করেছে। এই কারণে, ভারতীয় টেক্সটাইল মিলগুলো এখন বিকল্প পরিবহন ব্যবস্থা অনুসন্ধানে মনোযোগ দিচ্ছে।

তারা এই বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সাথে আলোচনার জন্য ভারত সরকারের কাছে আবেদন করেছে।ভারত থেকে বাংলাদেশে যে সুতা রপ্তানি হয়, তার মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ—যা মূলত রঙিন এবং বিশেষ ধরণের—স্থলবন্দর দিয়ে পরিবহন করা হতো।সম্প্রতি, ভারতীয় সুতা রপ্তানিকারকরা একটি বৈঠকে বিকল্প পরিবহন পদ্ধতির বিভিন্ন সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছেন, যেমন কনটেইনার জাহাজে করে পাঠানো অথবা অভ্যন্তরীণ নৌপথ ব্যবহার করা।

তারা বাংলাদেশি ক্রেতাদের সাথেও আলোচনা করেছেন।কটন টেক্সটাইলস এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক সিদ্ধার্থ রাজগোপাল বলেন, সমুদ্রপথে কনটেইনারে পণ্য পাঠাতে বেশি সময় লাগে, এটাই প্রধান সমস্যা।

বর্তমানেও ভারতের ৭০ শতাংশ সুতা সমুদ্র পথেই বাংলাদেশে যায়। যারা আগে স্থলবন্দর ব্যবহার করতেন, এখন তারাও সমুদ্রপথ ব্যবহার করবেন। কলকাতা থেকে ছোট জাহাজও চলাচল করে, সেগুলো ব্যবহার করার সুযোগ খতিয়ে দেখা দরকার।

সাউদার্ন ইন্ডিয়া মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি-জেনারেল কে. সেলভারাজু আরও উল্লেখ করেন যে, ভারত মূলত চীন ও বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি সুতা রপ্তানি করত। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ভারত থেকে তুলনামূলকভাবে কম সুতা কিনছে।

এমতাবস্থায়, বাংলাদেশের জন্য নির্ধারিত ৩০ শতাংশ রপ্তানিও যদি ব্যাহত হয়, তাহলে সেই সুতা দেশের বাজারে এসে দাম কমিয়ে দেবে। এর ফলে দেশের টেক্সটাইল খাতের পুরো সাপ্লাই চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।সেলভারাজু জানান, উত্তর ভারতের টেক্সটাইল মিলগুলো বর্তমানে স্থলবন্দর বন্ধ থাকার কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তবে পরিস্থিতির উন্নতি না ঘটলে সমগ্র টেক্সটাইল স্পিনিং শিল্পই ক্ষতির মুখে পড়বে।