বুধবার ৪ জুন, ২০২৫
সর্বশেষ:
ইতিবাচক বাজেট লক্ষ্যমাত্রা সত্ত্বেও করের বোঝা অর্থনীতি পুনুরুদ্ধারের চেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে : বাজেট প্রতিক্রিয়ায় ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার প্রাইমার্ক এর কান্ট্রি কন্ট্রোলার ফিলিপ্পো পোগি’র প্রতি বিজিএমইএ এর শ্রদ্ধাঞ্জলী অনলাইন ট্রেডিংয়ের উপর কর কমানোর পরামর্শ দিয়ে বাজেটকে স্বাগত জানালো আইসিএবি অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য বাজেট প্রদানে অন্তবর্তীকালীন সরকার ব্যর্থ: এবি পার্টি বাংলাদেশ ১১ মাসে ৪৪.৯৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে ইন্টান্যাশনাল বিসনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ এক মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদুল আযহা উপলক্ষে নিরাপত্তা জোরদারে ব্যবস্থা সকল সূচক ইতিবাচক, বাজেটে নির্ধারিত সময়ের আগেই মুদ্রাস্ফীতি কমে আসবে: গভর্নর সরকার ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ১০০টি ছোট হিমাগার নির্মাণ করবে, যেখানে মৌসুমি সবজি সংরক্ষণ করা হবে: কৃষি উপদেষ্টা

যুক্তরাষ্ট্র-ভারত কূটনৈতিক সফর ও চীন-মার্কিন বাণিজ্যযুদ্ধের প্রেক্ষাপট

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp
Share on print

ঢাকা, ১৯এপ্রিল: যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ২১ এপ্রিল থেকে ৪ দিনের সফরে ভারত যাচ্ছেন, যেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-এর সঙ্গে বৈঠক করবেন। এই সফরের সময়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ঘটছে মার্কিন-চীন বাণিজ্যযুদ্ধের তীব্র উত্তেজনা এবং বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে। প্রধান আলোচ্য বিষয়১.বাণিজ্য ও শুল্ক নীতি: – ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি চীনের উপর ১৪৫% শুল্ক আরোপ করেছে, যা কিছু ক্ষেত্রে ২৪৫%-এ পৌঁছেছে। পাল্টা হিসেবে চীন মার্কিন পণ্যে ১২৫% শুল্ক দিয়েছে। – ভারত ইতিমধ্যে কিছু পণ্যে শুল্ক হ্রাস করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একটি মিনি ট্রেড ডিল-এর জন্য আলোচনা চালাচ্ছে। ২. ভারতের ভূমিকা: মার্কিন-চীন উত্তেজনার মধ্যে ভারতকে চীনের বিকল্প উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। অ্যাপলের মতো কোম্পানিগুলো ইতিমধ্যে ভারতের তামিলনাড়ুতে উৎপাদন শুরু করেছে। – তবে ভারতের অবকাঠামো ও দক্ষ শ্রমিকের অভাব এখনও বড় চ্যালেঞ্জ। ৩.চীনের কৌশলগত জবাব: ভ্যান্সের সফরের ঠিক আগে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো (যেমন মালয়েশিয়া) সফর করেছেন, যাতে চীনকে একটি স্থিতিশীল বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা যায়। ৪. ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা: ভারত ও চীনের মধ্যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সীমান্ত সংঘাত (যেমন ২০২০-এ লাদাখে সংঘর্ষ) এবং কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ভারতের সামরিক সহযোগিতা (যেমন F-35 যুদ্ধবিমান চুক্তি) চীনকে উদ্বিগ্ন করছে। সম্ভাব্য ফলাফল:এই সফরে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত বাণিজ্য চুক্তি অগ্রগতি হতে পারে, যা চীনের উপর মার্কিন চাপকে শক্তিশালী করবে। – ভারত যদি মার্কিন বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি সহায়তা পায়, তাহলে তা “মেক ইন ইন্ডিয়া” উদ্যোগকে ত্বরান্বিত করতে পারে। – তবে চীন-ভারত-মার্কিন এই ত্রিমুখী সম্পর্কে ভারতের কূটনৈতিক সতর্কতা জরুরি, কারণ চীনের সাথে তার অর্থনৈতিক সম্পর্কও গভীর। সারসংক্ষেপ:জেডি ভ্যান্সের এই সফর যুক্তরাষ্ট্র-ভারত জোট কে শক্তিশালী করতে পারে, কিন্তু এটি চীনকে আরও আগ্রাসী করে তুলতে পারে। বিশ্ব অর্থনীতিতে এর প্রভাব হবে গভীর, বিশেষ করে যদি সরবরাহ শৃঙ্খল পুনর্বিন্যাসিত হয়।

আরও পড়ুন