ঢাকা, ১৯এপ্রিল: যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ২১ এপ্রিল থেকে ৪ দিনের সফরে ভারত যাচ্ছেন, যেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-এর সঙ্গে বৈঠক করবেন। এই সফরের সময়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ঘটছে মার্কিন-চীন বাণিজ্যযুদ্ধের তীব্র উত্তেজনা এবং বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে। প্রধান আলোচ্য বিষয়১.বাণিজ্য ও শুল্ক নীতি: – ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি চীনের উপর ১৪৫% শুল্ক আরোপ করেছে, যা কিছু ক্ষেত্রে ২৪৫%-এ পৌঁছেছে। পাল্টা হিসেবে চীন মার্কিন পণ্যে ১২৫% শুল্ক দিয়েছে। – ভারত ইতিমধ্যে কিছু পণ্যে শুল্ক হ্রাস করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একটি মিনি ট্রেড ডিল-এর জন্য আলোচনা চালাচ্ছে। ২. ভারতের ভূমিকা: মার্কিন-চীন উত্তেজনার মধ্যে ভারতকে চীনের বিকল্প উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। অ্যাপলের মতো কোম্পানিগুলো ইতিমধ্যে ভারতের তামিলনাড়ুতে উৎপাদন শুরু করেছে। – তবে ভারতের অবকাঠামো ও দক্ষ শ্রমিকের অভাব এখনও বড় চ্যালেঞ্জ। ৩.চীনের কৌশলগত জবাব: ভ্যান্সের সফরের ঠিক আগে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো (যেমন মালয়েশিয়া) সফর করেছেন, যাতে চীনকে একটি স্থিতিশীল বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা যায়। ৪. ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা: ভারত ও চীনের মধ্যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সীমান্ত সংঘাত (যেমন ২০২০-এ লাদাখে সংঘর্ষ) এবং কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ভারতের সামরিক সহযোগিতা (যেমন F-35 যুদ্ধবিমান চুক্তি) চীনকে উদ্বিগ্ন করছে। সম্ভাব্য ফলাফল:এই সফরে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত বাণিজ্য চুক্তি অগ্রগতি হতে পারে, যা চীনের উপর মার্কিন চাপকে শক্তিশালী করবে। – ভারত যদি মার্কিন বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি সহায়তা পায়, তাহলে তা “মেক ইন ইন্ডিয়া” উদ্যোগকে ত্বরান্বিত করতে পারে। – তবে চীন-ভারত-মার্কিন এই ত্রিমুখী সম্পর্কে ভারতের কূটনৈতিক সতর্কতা জরুরি, কারণ চীনের সাথে তার অর্থনৈতিক সম্পর্কও গভীর। সারসংক্ষেপ:জেডি ভ্যান্সের এই সফর যুক্তরাষ্ট্র-ভারত জোট কে শক্তিশালী করতে পারে, কিন্তু এটি চীনকে আরও আগ্রাসী করে তুলতে পারে। বিশ্ব অর্থনীতিতে এর প্রভাব হবে গভীর, বিশেষ করে যদি সরবরাহ শৃঙ্খল পুনর্বিন্যাসিত হয়।