ঢাকা: দেশের বাণিজ্যিক কেন্দ্র মতিঝিল ও অভিজাত গুলশান এলাকা ঢাকা শহরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সম্পদ কেন্দ্রীভূত করে রেখেছে। এই দুটি থানা এলাকায় দেশের মোট ব্যাংক আমানতের প্রায় ২০ শতাংশ গচ্ছিত রয়েছে, যার সম্মিলিত পরিমাণ ৩,৯৬,৭২৪.৭৩ কোটি টাকা।
ঢাকা মহানগরীর ৫৭টি থানার সর্বশেষ ব্যাংক আমানত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মতিঝিল ও গুলশান এই দুই অঞ্চলে সম্পদের সর্বোচ্চ কেন্দ্রীভবন ঘটেছে।
বিপরীতে, অভিজাত গুলশান থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ভাষানটেক থানা এলাকায় রয়েছে শহরের সর্বনিম্ন ব্যাংক আমানত, যা দেশের মোট আমানতের মাত্র ০.০১ শতাংশ।
ভাষানটেকের চিত্র
২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত পর্যালোচনা করা তথ্যানুযায়ী, ভাষানটেক এলাকায় ৫,৭২৫টি অ্যাকাউন্টের বিপরীতে আমানতের পরিমাণ ছিল ২৪৯.৪৬ কোটি টাকা।
এক বছর আগে, ২০২৪ সালের ৩০ জুন, ৫,৬৫৪টি অ্যাকাউন্টে মোট আমানত ছিল ২৪৪.৬২ কোটি টাকা। এই তথ্য থেকে বোঝা যায় যে, এক বছরের ব্যবধানে রাজধানীর এই অপেক্ষাকৃত স্বল্প আয়ের এলাকায় অ্যাকাউন্টের সংখ্যা মাত্র ৫১টি এবং আমানতের পরিমাণ মাত্র ৫.০৪ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ভাষানটেক এলাকাটি তুলনামূলকভাবে নতুন এবং এখানে বড় ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নেই। আমানতের প্রধান উৎস হলো ব্যক্তিগত সঞ্চয় এবং ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এলাকাটিতে নিম্ন আয়ের ও কর্মজীবী মানুষের সংখ্যা বেশি হওয়ায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও আমানতের পরিমাণ ন্যূনতম।
মতিঝিল ও গুলশানের আধিপত্য
গুলশান, যা বর্তমানে অনেক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের নতুন কেন্দ্র, সেখানে দেশের মোট আমানতের ৯.৭ শতাংশ রয়েছে।
মতিঝিল, যা ঐতিহ্যগতভাবে ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্র, এখনো তার প্রাধান্য বজায় রেখেছে। এই এলাকায় দেশের মোট আমানতের ১০.২ শতাংশ গচ্ছিত রয়েছে। যদিও বহু ব্যাংক তাদের প্রধান কার্যালয় গুলশানে সরিয়ে নিয়েছে, পুরাতন বাণিজ্যিক অ্যাকাউন্টগুলো এখনো মতিঝিলে সক্রিয় থাকায় আমানতের পরিমাণ বেশি রয়েছে।