ঢাকা, ৩ জুলাই : বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বাণিজ্য সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে আজ রাজধানী ঢাকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ নেটওয়ার্কিং সভার আয়োজন করা হয়।
এই আয়োজনকে ঘিরে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে যৌথ উদ্যোগে বাণিজ্যের প্রসার নিয়ে আগ্রহ দেখা গেছে।বৃহস্পতিবার সকালে মতিঝিলে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) কর্তৃক আয়োজিত এই সভায় দুই দেশের ব্যবসায়িক প্রতিনিধিরা, চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্ব এবং কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বিশেষভাবে জোর দেওয়া হয় ওষুধ, সার্জিক্যাল সামগ্রী, ইলেকট্রনিকস পণ্য, বস্ত্রশিল্প এবং শিল্প খাতের মধ্যবর্তী যন্ত্রাংশ উৎপাদন – এই সকল ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা ও যৌথ বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনার ওপর। বক্তারা দৃঢ়তার সাথে উল্লেখ করেন যে, এই ক্ষেত্রগুলোতে সম্মিলিতভাবে কাজ করলে উভয় দেশই অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারে।
এফবিসিসিআই-এর প্রশাসক জনাব হাফিজুর রহমান সভার সভাপতিত্ব করেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, “ইলেকট্রনিকস ও মোটরযন্ত্রাংশের পাশাপাশি ফার্মাসিউটিক্যালস, সার্জিক্যাল যন্ত্রাংশ এবং টেক্সটাইল সেক্টরে দুই দেশের মধ্যে ব্যাপক সম্ভাবনা বিদ্যমান।” তিনি আরও জানান যে, বাংলাদেশের এফবিসিসিআই এবং পাকিস্তানের এফপিসিসিআই যৌথভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে এবং ভবিষ্যতে এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করা হবে।ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার জনাব মুহাম্মদ ওয়াসিফ এই সভায় উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, “ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্পর্ক যত মজবুত হবে, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ উভয়ই ততই বৃদ্ধি পাবে।” তিনি ভবিষ্যতে এ ধরনের নেটওয়ার্কিং সভা অব্যাহত রাখার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে এফবিসিসিআই-এর সাবেক পরিচালক নাসরিন ফাতেমা আউয়াল, মহাসচিব মো. আলমগীর এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ক প্রধান জাফর ইকবাল এনডিসিও উপস্থিত ছিলেন।এই নেটওয়ার্কিং সভাটিকে দুই দেশের ব্যবসায়ী মহল একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে এবং যৌথ উদ্যোগে ব্যবসার দিগন্ত উন্মোচনে তারা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।