বুধবার ১৬ এপ্রিল, ২০২৫
সর্বশেষ:
বিনিয়োগ ও শিল্পে সুষম প্রতিযোগিতা নিশ্চিতে সামঞ্জস্যপূর্ণ জ্বালানীর দর নির্ধারণের আহবান জানিয়েছে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা ঢাবিতে ষষ্ঠ বাংলাদেশ ইকনোমিকস সামিট শুরু তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন ও শিশুদের নিকট তামাক বিক্রয় নিষিদ্ধে প্রচারণা শুরু ঢাকায় হাবিব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ নাসির সেলিম বাংলা নববর্ষ ১৪৩২, পহেলা বৈশাখ উদযাপনের জন্য প্রস্তুত জাতি বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৬.৩৮ বিলিয়ন ডলার ঢাবি’র বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা সকাল ৯টায় শুরু অর্থায়নের ঝুঁকি-ভিত্তিক তত্ত্বাবধানে ব্যাংক কর্মকর্তাদের কঠোর হতে হবে: গভর্নর ‘বৈসাবি’উৎসব বাঙালী পাহাড়িদের মধ্যে কিভাবে এলো?

ধূমপানে যুবকদের নিরুৎসাহিত করতে উদ্ভাবনী সামাজিক আন্দোলন প্রয়োজন: প্রধান উপদেষ্ঠার প্রেস সচিব

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp
Share on print

ঢাকা, ১২ মার্চ:- প্রধান উপদেষ্ঠার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম যুবকদের ধূমপান থেকে বিরত রাখতে একটি উদ্ভাবনী সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়েছেন।

তিনি বলেন, শুধু তামাকজাত পণ্যের দাম বাড়িয়ে তামাকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। ধূমপান না করার জন্য সামাজিক আন্দোলন অপরিহার্য।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে তামাকজাত পণ্যের ওপর কর বাড়ানোর জন্য সাংবাদিকদের কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থনৈতিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) এবং ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অফ দ্য রুরাল পুওর (ডর্প) যৌথভাবে বুধবার ইআরএফ মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য (ভ্যাট নীতি) ড. মো. আব্দুর রউফ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

ডর্পের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ জোবায়ের হাসান মূল প্রবন্ধে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের ধূমপানে নিরুৎসাহিত করতে সিগারেট প্রতি ন্যূনতম ৯ টাকা দাম নির্ধারণের প্রস্তাব করেন।

গত তিন অর্থবছরে, জটিল বহু-স্তরযুক্ত অ্যাড ভ্যালোরেম কর ব্যবস্থার কারণে সিগারেটের দাম মাত্র ৭.৩ শতাংশ বেড়েছে। অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ক্রমবর্ধমান খরচের তুলনায় এই বৃদ্ধি নগণ্য।

ফলে সিগারেটের বিক্রি গড়ে প্রতি বছর ৪ শতাংশ হারে বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে এনবিআর সিগারেটের সব স্তরের ওপর অভিন্ন ৬৭ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করে।

তবে, আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরে, নিম্ন ও মধ্যম স্তরগুলিকে একটি নতুন শ্রেণীতে একীভূত করা উচিত, এবং সিগারেট প্রতি ন্যূনতম দাম ৯.০ টাকা নির্ধারণ করা উচিত। এই ব্যবস্থা ছাড়া, বাংলাদেশে সিগারেটের ব্যবহার কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে কমানো সম্ভব হবে না।

উপস্থাপনায় আরও বলা হয়েছে যে, ৯০ শতাংশ সিগারেট বিক্রি হয় নিম্ন ও মধ্যম স্তরে। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে মাথাপিছু সিগারেট বিক্রি বছরের পর বছর স্থিতিশীল থাকলেও এই দুটি স্তরে বিক্রি বেড়েছে।

আসন্ন অর্থবছরে, নিম্ন ও মধ্যম স্তরগুলিকে একত্রিত করা উচিত এবং নতুন তিনটি স্তরের জন্য সিগারেটের প্রতি প্যাকেটের (প্রতি প্যাকেটে ১০টি কাঠি) দাম যথাক্রমে ৯০ টাকা এবং ১৯০ টাকা নির্ধারণ করা উচিত। এই প্রস্তাবটি পরবর্তী বাজেটে বাস্তবায়িত হলে, ১.৭ মিলিয়ন তরুণ ধূমপান শুরু করা থেকে নিরুৎসাহিত হতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদে ৮৭০,০০০ অকাল মৃত্যু রোধ করা যেতে পারে।

আরও পড়ুন