মঙ্গলবার ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
সর্বশেষ:
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ, গুজবে মনোযোগ না দেওয়ার আহ্বান সেনাপ্রধানের বাণিজ্য সহজীকরণে অপ্রয়োজনীয় প্রবিধান বাতিলের প্রতিশ্রুতি প্রবাসী আয়ে রেকর্ড: আগস্টে ২৪২ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত করতে নীতি সংস্কারের আহ্বান ভারতের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্কে রপ্তানি আদেশ বাংলাদেশে স্থানান্তরিত হবে : অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী নেতারা পলিথিন পেলে ছাড় নয়, আইনানুগ ব্যবস্থা: পরিবেশ উপদেষ্টা বিলস এর আয়োজনে সাংবাদিকদের জন্য তৈরী পোশাক শিল্পে এইচআরডিডি বিষয়ে দুই দিনের সক্ষমতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ সমাপ্ত বিদেশি ইন্টারনেট সেবার মূল্য পরিশোধ সহজ করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডিউ ডিলিজেন্স আইন মানতে ন্যায্য দর দিতে ক্রেতারা বাধ্য: কর্মশালায় অভিমত

ডিউ ডিলিজেন্স আইন মানতে ন্যায্য দর দিতে ক্রেতারা বাধ্য: কর্মশালায় অভিমত

ঢাকা, ৩১ আগস্ট : নতুন কর্পোরেট সাসটেইনেবিলিটি ডিউ ডিলিজেন্স ডাইরেক্টিভ (CSDDD) এবং অন্যান্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ক্রেতারা এখন থেকে উৎস দেশকে ন্যায্য মূল্য দিতে বাধ্য থাকবে। সম্প্রতি ঢাকায় আয়োজিত একটি কর্মশালায় বক্তারা এই অভিমত প্রকাশ করেন।

‘তৈরি পোশাক খাতে মানবাধিকার এবং ইইউ ডিউ ডিলিজেন্স’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী এই কর্মশালাটি রোববার ঢাকার একটি হোটেলে শেষ হয়েছে। এর আয়োজন করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ লেবার স্টাডিজ (বিলস) এবং নেদারল্যান্ডসভিত্তিক আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠন মন্ডিয়াল এফএনভি।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, ব্র্যান্ডগুলো প্রায়শই বাংলাদেশি সরবরাহকারীদের ওপর অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ চাপিয়ে দেয়, এমনকি হিজড়া শ্রমিকদের জন্য আলাদা বাথরুমের মতো ছোট ছোট বিষয়ও তারা যাচাই করে। অথচ তারা পণ্যের ন্যায্য মূল্য দিতে ব্যর্থ হয়। এই কারণে কারখানার মালিকদের পক্ষে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি প্রদানও কঠিন হয়ে পড়ে।

বক্তারা জানান, গত বছর এপ্রিলে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট CSDDD আইনটি পাস করে। ২০২৯ সালের মধ্যে সদস্য দেশগুলোর সংসদে এটি পাস হওয়ার পর কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। আইনটি কার্যকর হলে ইইউ ব্র্যান্ডগুলো পণ্যের উৎপাদন উৎসের বিষয়ে জবাবদিহিতার আওতায় আসবে। তখন পরিবেশ ও মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন আছে এমন উৎস থেকে পণ্য আমদানি করতে পারবে না তারা।

তারা জোর দিয়ে বলেন, রপ্তানি ব্যাপক হারে কমে যাওয়া এড়াতে বাংলাদেশের শিল্প খাতকে পরিবেশসম্মত উৎপাদন এবং মানবাধিকার সুরক্ষায় গুরুত্ব দিতে হবে। ইইউ জোটের আইন এবং জার্মানির মতো দেশের জাতীয় আইন অনুযায়ী, সরবরাহ চেইনের সঙ্গে যুক্ত আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকসহ সব পক্ষকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে সেসব পণ্য জোটভুক্ত দেশগুলোতে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

বক্তারা বলেন, “ক্রেতারা যদি পোশাকের ন্যায্য মূল্য না দেয়, তাহলে কারখানার শ্রমিকদের কোনো অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।”

তারা সব পক্ষকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান, যাতে ক্রেতারা ন্যায্য মূল্য দিতে বাধ্য হয়। কর্মশালায় শ্রম পরিবেশ উন্নয়ন এবং মানবাধিকার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

কর্মশালায় বক্তাদের মধ্যে ছিলেন শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান ও বিলসের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ, বিলসের পরিচালক নাজমা ইয়াসমিন, মন্ডিয়াল এফএনভি-এর পরামর্শক মো. শাহিনুর রহমান, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মো. আওরঙ্গজেব আকন্দ এবং বিলসের উপ-পরিচালক মো. ইউসুফ আল-মামুন।