বুধবার ২২ অক্টোবর, ২০২৫
সর্বশেষ:
ব্যাংকিং খাতে তীব্র সংকট: খেলাপি ঋণের ধাক্কায় মূলধন ঘাটতি রেকর্ড ১.৫৫ লাখ কোটি টাকা নির্বাচনের আগে প্রশাসনে রদবদল আমার তত্ত্বাবধানে হবে: বিএনপিকে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস<gwmw style="display:none;"></gwmw><gwmw style="display:none;"></gwmw> বিতরণে অনীহা ও চ্যালেঞ্জে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পে বিলম্ব: উপদেষ্টা ফজলুল কবির খান ব্যাংকিং খাতে আস্থা ফেরাতে আইএফআরএস ৯-এর সঠিক বাস্তবায়নের আহ্বান আইসিএবি-এর<gwmw style="display:none;"></gwmw><gwmw style="display:none;"></gwmw> বেনী আমিন, এফসিসিএ ডিএসইতে নতুন জেনারেল ম্যানেজার ফিন্যান্স অ্যান্ড একাউন্টস হিসেবে যোগদান ঢাকা বিমানবন্দর কার্গো ভিলেজ আগুন: রপ্তানিকারকদের ১ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির আশঙ্কা শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আগুন ২৭ ঘণ্টা পর নিভল, কাঠামো ঝুঁকিপূর্ণ: এফএসসিডি ঋণ অবলোপনে নতুন নীতিমালা, ৩০ দিন আগে নোটিশ দেওয়া বাধ্যতামূলক করল বাংলাদেশ ব্যাংক শাহজালাল বিমানবন্দরে আগুনে পোশাক শিল্পের কাঁচামাল ও গুরুত্বপূর্ণ স্যাম্পল ধ্বংস: বিজিএমইএ

ওয়ারেন বাফেট জাপানে বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে

ঢাকা, ৩ মার্চ:-বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে কোম্পানির বিপুল নগদ রিজার্ভ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আশ্বাস দিয়েছেন ওয়ারেন বাফেট। কোম্পানির চেয়ারম্যান ও কিংবদন্তি বিনিয়োগকারী বাফেট জানিয়েছেন, এই তহবিল কৌশলগতভাবে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতের প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা হবে। এছাড়াও, জাপানে বড় আকারের বিনিয়োগের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। 

ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার (৩ মার্চ) এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। ওয়ারেন বাফেট প্রতি বছর মার্চ মাসে বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে একটি বার্ষিক চিঠি লেখেন। এবারও তিনি সেই রীতি অনুসরণ করেছেন। চিঠিতে তিনি বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের ৩২১.৪ বিলিয়ন ডলার (৩২ হাজার ১৪০ কোটি ডলার) নগদ রিজার্ভ নিয়ে শেয়ারহোল্ডারদের আশ্বস্ত করেছেন। অনেকেই আশঙ্কা করছিলেন যে এত বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ কোম্পানির ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তবে বাফেট স্পষ্ট করেছেন যে এই অর্থ কোনোভাবেই অলস থাকবে না। বরং, এটি ব্যবহার করে বড় ধরনের বিনিয়োগের মাধ্যমে কোম্পানির উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা হবে। 

যদিও কোম্পানির নগদ রিজার্ভ বেড়েছে, তবুও বাফেট জানিয়েছেন যে বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে মূলত ইকুইটি বিনিয়োগেই মনোনিবেশ করবে। নগদ রিজার্ভ বৃদ্ধি সত্ত্বেও, কোম্পানির বিনিয়োগের বেশিরভাগ অংশ ইকুইটিতেই রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এই কৌশল পরিবর্তনের কোনো ইচ্ছা নেই। গত দুই প্রান্তিকে বাফেট স্টক বাই ব্যাক না করার ঘটনা থেকে বিশ্লেষকরা অনুমান করছেন যে তিনি কোম্পানির শেয়ারকে অবমূল্যায়িত বলে মনে করছেন না। 

জাপানে বিনিয়োগের পরিকল্পনা নিয়েও বাফেট কিছু ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি ইতোমধ্যে জাপানের পাঁচটি বৃহৎ ট্রেডিং প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছেন। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে ইতোচু, মারুবেনি, মিৎসুবিশি, মিতসুই এবং সুমিতোমো। এসব কোম্পানি বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে কাজ করে, যার মধ্যে ভোগ্যপণ্য, জাহাজ এবং ইস্পাত উল্লেখযোগ্য। বাফেটের পরিকল্পনা হলো জাপানের অর্থনীতিতে আরও গভীরভাবে জড়িত হওয়া এবং এসব প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা। ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ বার্কশায়ারের এই প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৩.৫ বিলিয়ন ডলারে (২ হাজার ৩৫০ কোটি ডলার)। 

২০২৪ সালে বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে কোম্পানির বাজার মূলধন প্রথমবারের মতো এক ট্রিলিয়ন ডলার (এক লাখ কোটি ডলার) অতিক্রম করেছে। বাফেট এই সাফল্যের কৃতিত্ব সাধারণ বিনিয়োগকারীদের দিয়েছেন। তবে গত বছর কোম্পানিটির মুনাফা প্রায় ৭০০ কোটি ডলার কমেছে।