শনিবার ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
সর্বশেষ:
খেলাপির সংস্কৃতি নেই, তবুও এসএমই’র প্রধান চ্যালেঞ্জ ঋণপ্রাপ্তি, নীতিমালা সহজ করতে বললেন বিশেষজ্ঞরা ইইউ’র পণ্য সরবরাহে নতুন ডিউ ডিলিজেন্স আইন: চ্যালেঞ্জের মধ্যেও বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে আশার আলো দেখছেন বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশের প্রথম টেলিকম অপারেটর হিসেবে স্টারলিংকের অনুমোদিত রিসেলার হলো রবি শ্রম আইন সংস্কারে বাস্তবসম্মত ও বাস্তবভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণের আহ্বান নিয়োগকর্তাদের পোশাক শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধে আর্থিক বরাদ্ধ প্রদানের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি বিজিএমইএ’র কৃতজ্ঞতা সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় ৪৯তম স্থানে নেমে গেলেন আজিজ খান বাংলাদেশকে দক্ষতায় এগিয়ে নিতে এক লাখ শিক্ষার্থীকে ডিজিটাল স্কিলস প্রশিক্ষণ দেবে সরকার সমুদ্রই হবে বিশ্ব বাণিজ্যের পথে বাংলাদেশের মহাসড়ক: প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বিডার ওয়ান স্টপ সার্ভিস এর মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগকারী ও বিদেশি কর্মীদের নিরাপত্তা ছাড়পত্র পুরোপুরি ডিজিটাল হচ্ছে

আলোচনা সভায় বক্তারা শেয়ার বাজার বাঁচাতে বিএসইসি চেয়ারম্যানের অবিলম্বে পদত্যাগ দাবি করেছেন

ঢাকা, ২৩ ফেব্রুয়ারি:- আলোচনা সভায় বক্তারা পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের অবিলম্বে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন।

তারা বলেন, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান মাকসুদের একাধিক ভুল সিদ্ধান্তের ফলে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।

রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টরস অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমআইএ) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।

গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি মো. নুরুল হক নুরু, এবি পার্টির সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মো. মামুন খান, সাংবাদিক ফজলুল বারী, বিনিয়োগকারী জাইমুল হক, আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ।

বিসিএমআইএ সভাপতি এসএম ইকবাল হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

নুরুল হক নুরু বলেন, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে স্বৈরাচারী সরকারের সহযোগীরা বিভিন্ন পদে সক্রিয়, ফলে সরকার সাধারণ মানুষের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করতে পারছে না।

বিএসইসির চেয়ারম্যান মাকসুদের ভুল পদবী ব্যবহারের কারণে গত ৬ মাসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বিনিয়োগকারীরা প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা হারিয়েছেন। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিনও বিএসইসিতে তার ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেছেন, যদিও মাকসুদ এই পদে বহাল আছেন, নুরু উল্লেখ করেন।

তিনি বিএসইসি চেয়ারম্যান এবং বিএসইসি এবং ডিএসই উভয়ের দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের অপসারণের জন্য বিসিএমআইএ কর্তৃক গৃহীত কর্মসূচির প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেন।

ব্যারিস্টার ফুয়াদ বিএসইসির বর্তমান চেয়ারম্যান এবং এর বোর্ডের সংস্কার এবং বিনিয়োগকারীদের পক্ষে কাজ করতে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের পদত্যাগের আহ্বান জানান।

তিনি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের অনুপাত অনুসারে বিএসইসির বোর্ডে বিনিয়োগকারীদের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান।

বিসিএমআইএ সভাপতি এসএম ইকবাল হোসেন বলেন, গত ১৭ বছর ধরে পুঁজিবাজার খারাপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের মতো পুঁজিবাজারের চাকা ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশা করছেন জনগণ, কিন্তু বাজার নিয়ন্ত্রকের ভুল সিদ্ধান্ত বিনিয়োগকারীদের হতাশ করেছে।

বিএসইসির একের পর এক ভুল সিদ্ধান্তের কারণে বিপুল সংখ্যক মানুষ শেয়ার বাজারে ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ মূলধন হারিয়েছেন বলেও তিনি জানান।

লভ্যাংশ প্রদানে ব্যর্থতার জন্য জেড ক্যাটাগোতে কোম্পানির মর্যাদা পরিবর্তনের ঘোষণারও বিরোধিতা করেছেন বিসিএমআইএ সভাপতি। ফলে বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির পরিবর্তে শাস্তির মুখোমুখি হচ্ছেন।

বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগসহ ৭ দফা দাবিতে সোমবার অর্থ উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি জমা দেবে বিসিএমআইএ।