সোমবার ২৫ আগস্ট, ২০২৫
সর্বশেষ:
বাংলাদেশ ব্যাংক ডিজিটাল ব্যাংকের মূলধনের প্রয়োজনীয়তা ৩০০ কোটি টাকায় বৃদ্ধি করেছে ২০৪০ সালের পরিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বাংলাদেশের ৩৫ গিগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রয়োজন : সিপিডি স্পেসএক্স ছেড়ে এবার আর্থিক খাতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কাইরান কাজী বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ৭০% আসে ১০ দেশ থেকে, বাড়ছে ঝুঁকি দুর্বল ব্যাংকে আটকা পড়েছে বিপিসি ও পেট্রোবাংলার ৩ হাজার কোটি টাকা পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি বিমান যোগাযোগে আগ্রহী বাংলাদেশ: বাণিজ্যমন্ত্রী সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদারে আত্মবিশ্বাসী সরকার: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জিরো ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল আইনত দন্ডনীয় বিমান টিকিটে এজেন্সির নাম এবং ভাড়া উল্লেখ করতে হবে: বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়

আইএমএফের চাপে নীতি সুদ হারে পরিবর্তন, বিনিয়োগমুখী মুদ্রানীতি ঘোষণা আসছে

ঢাকা, ৪ জুলাই – বাংলাদেশে ব্যাংক এ মাসে ব্যবসা বান্ধব নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে যাচ্ছে। এবার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রেখে সংকোচনমূলক নীতি থেকে বেরিয়ে আসার ইঙ্গিত দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর প্রভাবে নীতি সুদ হারেও আসতে পারে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। অন্যদিকে, ব্যবসায়ীরা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পাশাপাশি ঋণের সুদহার কমিয়ে একটি বিনিয়োগবান্ধব মুদ্রানীতি ঘোষণার প্রত্যাশা করছেন।একটি দেশের অর্থনীতিতে অর্থের সরবরাহ কতটা থাকবে, উন্নয়নের গতিপ্রকৃতি কেমন হবে এবং মূল্যস্ফীতি কীভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে—এসব কিছুই নির্ধারিত হয় মুদ্রানীতির মাধ্যমে।

নতুন অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের কৌশল প্রণয়ন করছে, যেখানে একদিকে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, অন্যদিকে বেসরকারি বিনিয়োগকে প্রাধান্য দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে।দীর্ঘদিনের বিনিয়োগ খরা কাটাতে এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অভাবজনিত প্রভাব কাটিয়ে উঠতে সংকোচনমূলক নীতি থেকে সরে আসার তাগিদ দিচ্ছেন ব্যবসায়ী নেতারা।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)-এর সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, “আসন্ন মুদ্রানীতি কিছুটা হলেও আমাদের ব্যবসায়ী বান্ধব হোক এবং ঋণ প্রবাহ বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় সব ঘোষণা দেওয়া হোক। আমাদের সুদহার যেভাবে বেড়ে গেছে, সেটি যাতে কিছুটা কমানো হয়; আমরা একটি নমনীয় মুদ্রানীতি আশা করছি।

“উল্লেখ্য, মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরতে বাংলাদেশ ব্যাংক নীতি সুদহার সাড়ে ৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করেছিল। এর ফলে মূল্যস্ফীতি কমতে শুরু করে, তবে উচ্চ নীতি সুদহারের কারণে বিনিয়োগে স্থবিরতা দেখা দেয়।

এমন পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ ব্যাংক এবার সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি থেকে বেরিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, “যদি সংকোচনমূলক নীতি চালিয়ে যাওয়া হয়, তাহলে তা বিনিয়োগবান্ধব হবে না।

তিনটি মৌলিক কারণের মধ্যে দুটি ইতিমধ্যে আমরা অর্জন করতে পেরেছি এবং মূল্যস্ফীতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলেও কিছুটা কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। সেই হিসেবে, এবার হয়তোবা কিছুটা ভিন্ন রূপ দেখা যেতে পারে, অতটা সংকোচনমূলক নীতি নাও হতে পারে।

“অর্থনীতিবিদ তৌফিক আহমেদ বলেন, “মূল্যস্ফীতি শুধু অর্থের যোগানে হয় না। বাংলাদেশের যে মূল্যস্ফীতি, তা শুধু বাংলাদেশ ব্যাংক একটি নীতি বাড়িয়ে দিলেই কমে আসবে, এমন নয়। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট (সরবরাহ ব্যবস্থা) নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।”বিশ্লেষকরা মনে করেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাজারে সরবরাহ ব্যবস্থায় জোর দেওয়ার কথা বলা হলেও, এর বাস্তবায়ন একটি বড় চ্যালেঞ্জ।