মঙ্গলবার ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫
সর্বশেষ:
মহান বিজয় দিবস আগামীকাল নির্বাচনকালীন সহিংসতা প্রতিরোধে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বিজয় দিবসে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ অর্ধেকের বেশি খেলাপি ঋণ ১৭ ব্যাংকে, বছর ঘুরতেই দ্বিগুণ হলো খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ এবার বাজারে আনছে টয়োটা হায়েস, নতুন পার্টনারশিপের উদ্বোধন চট্টগ্রামে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি সন্তোষজনক: ড. সালেহউদ্দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী হল নির্মাণ কাজ শিগগিরই শুরু হচ্ছে জাল নথিতে ১৭৬ কোটি টাকার রাজস্ব আত্মসাৎ: সাবেক ৩ কাস্টমস কর্মকর্তাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন বিচারকদের অনেক অভিমতই রাষ্ট্রের গতিপথ নির্ধারণে ভূমিকা রাখে: প্রধান বিচারপতি

অ্যান্টিবায়োটিকের ‘যথাযথ ব্যবহার’ নিশ্চিত করতে জানুয়ারিতে বড় কর্মসূচি: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার শনিবার বলেছেন, অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার কমানো এবং এর খারাপ প্রভাব সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে আগামী জানুয়ারি মাসে একটি ব্যাপক সচেতনতামূলক কর্মসূচি শুরু করা হবে।

উপদেষ্টা জানান, অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার রোধ এবং মানুষের মধ্যে এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরির জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, যা জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত লাইভস্টক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এলআরআই)-এ আয়োজিত ‘ভেটেরিনারি ভ্যাকসিন কনফারেন্স ২০২৫’–এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখার সময় উপদেষ্টা ফরিদা এসব মন্তব্য করেন।

জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভ্যাকসিনের গুরুত্ব

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভ্যাকসিনের ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ভেটেরিনারি ভ্যাকসিন পশুস্বাস্থ্য, জনস্বাস্থ্য, খাদ্য নিরাপত্তা এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি ‘ভেটেরিনারি ভ্যাকসিন কনফারেন্স’–কে সময়োপযোগী এবং তাৎপর্যপূর্ণ উদ্যোগ হিসেবে প্রশংসা করেন, যার মাধ্যমে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার গুরুত্বপূর্ণ আদান-প্রদান সম্ভব হচ্ছে।

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার সতর্ক করে বলেন, রোগ প্রতিরোধে অবহেলা করলে অপ্রয়োজনীয়ভাবে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার বাড়ে, যা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) বা অণুজীব প্রতিরোধী হওয়ার ঝুঁকি তৈরি করছে। এই ঝুঁকি শুধু মানুষের মধ্যেই নয়, প্রাণীর মধ্যেও বাড়ছে।

তিনি অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজনীয়তা কমাতে টিকাদান কার্যক্রম জোরদার করার এবং ভুলভাবে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি আরও বলেন, “শুধু গবাদিপশু পালন করলেই হবে না—মানুষের মতো প্রাণীরও যত্ন, চিকিৎসা ও রোগ প্রতিরোধ প্রয়োজন।”

“কারণ মানুষ যে প্রাণীগুলোকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে, সেগুলোর সুস্থতার ওপরই মানুষের সুস্থতা অনেকাংশে নির্ভর করে।”

ভ্যাকসিন উৎপাদনে নিজস্ব সক্ষমতা বৃদ্ধির তাগিদ

খুরা রোগ (এফএমডি), লাম্পি স্কিন, পিপিআর, অ্যানথ্রাক্সসহ বিভিন্ন সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে টিকাদান কর্মসূচি চলমান থাকলেও, উপদেষ্টা ভ্যাকসিন উৎপাদনে দেশের নিজস্ব সক্ষমতা গড়ে তোলার ওপর জোর দেন।

সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ডা. রবিন অ্যাল্ডার্স মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তাঁর প্রবন্ধের শিরোনাম ছিল: ‘Preventing pandemics, improving food security: sustainable control of vaccine preventable animal disease in resource-limited settings’ (মহামারি প্রতিরোধ, খাদ্য নিরাপত্তার উন্নতি: সীমিত সম্পদযুক্ত অঞ্চলে ভ্যাকসিন-প্রতিরোধযোগ্য প্রাণী রোগের টেকসই নিয়ন্ত্রণ)।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য ও সার্বিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন এলআরআই-এর পরিচালক ড. মো. মোস্তফা কামাল। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডা. শাকিলা ফারুক।

এই অনুষ্ঠানে প্রাণিসম্পদ খাতের বিশেষজ্ঞ, গবেষক ও নীতিনির্ধারক-সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।